রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের তিন ঘণ্টা পর ওই এলাকায় যান চলাচল সচল হয়েছে। বুধবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া যায়। পরে, গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সংঘর্ষ থামলে রাত পৌনে ১১টার দিকে গাড়ি চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (৩০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।
আহতরা হলেন- কায়েস (২৪), সুরুজ (২৫), রাসেল (২৪), জসিমউদ্দিন (২৮), সুজন (২৮), খোকন (২৮), রুবেল (২৮), মামুন(২৬), শিহাব (২৬), মেহেদী (২৫), নিয়ন (২৫), আরিফ (২৫), জাহিরুল (২৫), সুজন (২৩) ও মাসুদ (২২)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তবে তারা ঢাকা কলেজ এবং টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছাত্র কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তারা কারো সঙ্গে কোন বিষয়ে কথা বলছে না। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঢাকা মেডিকেলে এসেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের নর্থ হলের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ফটকের সামনে এলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি।
এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এ সময় ভয়ে লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সায়েন্স ল্যাব থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত সড়কের দুপাশ ফাঁকা হয়ে যায়। সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দখলে চলে যায় রাস্তা।
পরে শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বেরিয়ে এসে সড়কে মিছিল করতে থাকে। রাত পৌনে ১১টায় তারা সড়ক থেকে উঠে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ জানায়, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা ক্যাম্পাসের একাডেমিক বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিরপুর সড়ক থেকে পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।